সমস্ত লেখাগুলি

ইসরো প্রধান ও ‘সবই ব্যাদে আছে’ -
সমূদ্র সেনগুপ্ত
May 20, 2025 | বিজ্ঞানমনস্কতা | views:3 | likes:0 | share: 0 | comments:0

সাহা, বোর, স্রয়ডিংগার, হাইসেনবার্গ, আইনস্টাইনদের মতো ইন্টেলেকচুয়াল জায়েন্টদের সাথে ইসরো প্রধান সোমনাথের নাম জুড়ে ভক্ত কুলের লাফালাফি যাদের অসহ্য মনে হচ্ছে, এই লেখা তাদের জন্য।

ইসরো বিজ্ঞানীর মন্তব্য, তাকে ঘিরে মেঘনাদ সাহার “সবই ব্যদে আছে” বলে প্রত্যুত্তর, তার মিম, তার উত্তরে আবার হাইজেনবর্গ এর উদ্ধৃতি নিয়ে পাল্টা মিম ইত্যাদি তর্ক বিতর্কের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখবেন আসলে সবই “এপিল টু অথরিটি” নামের ফ্যালাসিতে ভরপুর। একটা ডাহা মিথ্যে কথাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসরো চিফ সোমনাথ নামক বিজ্ঞানীর (উনি কতটা বড় বিজ্ঞানী সে নিয়ে প্রশ্ন আছে) উক্তি নিয়ে ভক্তদের লাফালাফি, সেই দেখে মেঘনাদ সাহার উদ্ধৃতি হাতিয়ার করে বিপক্ষের নেমে যাওয়া এই গোটা কাজিয়া তে যেটা হারিয়ে হচ্ছে সেটা হল বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ। 


পদার্থবিজ্ঞানের জগতে নিউটনের বলবিদ্যার রমরমা ছিল অনেকদিন। 1920 দশকের গোড়ায় সেটা ধাক্কা খায়। সাব এটমিক পার্টিকল যেমন ইলেকট্রনের কিছু চলন বলন ওই নিউটনীয় গতিবিদ্যার সূত্রগুলো দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিল না। ফলে প্রধানত তিন পদার্থবিদ, ডেনমার্ক এর নীলস্ বোর, অস্ট্রিয়ার আরউইন স্রয়ডিংগার আর জার্মানির ওয়ার্নার হাইসেনবার্গ এর হাতে পদার্থবিজ্ঞানের একটা নতুন ধারণার জন্ম নেয় যেটা পূর্ণতা পায় 1930 দশকের গোড়ায়। এর নাম কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। 


গোলমালটা শুরু হয় এর পরেই। নিউটনের বলবিদ্যার ধ্যান ধারণা তার সরলতার জন্য খুবই জনপ্রিয় ছিল, এমনকি পদার্থবিজ্ঞানের একেবারে গোড়ার দিকের ছাত্রছাত্রীদেরও বুঝতে কষ্ট হত না। অন্যদিকে এই কোয়ান্টাম বলবিদ্যা বা কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর ধ্যানধারণাগুলি এতটাই জটিল ছিল, এতটাই বৈপ্লবিক ছিল, যে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী তো বটেই, অনেক প্রতিষ্ঠিত পদার্থবিদও ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছিল। এর আবিষ্কারকদের ওপর নানান তাত্ত্বিক আক্রমণ নেমে আসে, পাগলামির অভিযোগ অবধি করা হয়।


তাঁদের তত্ত্বের জটিলতার অভিযোগে কিঞ্চিৎ বিপর্যস্ত ও বিচলিত এই তিন বিজ্ঞানীই দর্শনের মধ্যে তাদের আশ্রয় সান্ত্বনা (শব্দটা ব্যবহার করেছেন Fritjof Capra তার বইতে) খুঁজতে যান। ঘটনার পরম্পরাটা খেয়াল রাখতে হবে। যেমন  হাইসেনবার্গ তার uncertainty principle আবিষ্কার করে ফেলেন 1927 সাল নাগাদ। এর পরে 1929 সালে রবীন্দ্রনাথের তাঁর সাক্ষাত। ওই সাক্ষাৎকারের পরে উনি প্রাচ্য দর্শনে উৎসাহিত হয়ে পড়েন। এবং বলেন যে,

 “After the conversation about Indian philosophy some of the ideas of quantum physics, that had seemed so crazy suddenly made much more sense”

নীলস্ বোর তাঁর বিখ্যাত Complementarity Principle আবিষ্কার করেন 1928 সালে করার অনেক পরে উনি চীন ভ্রমনে যান 1937 সালে এবং চৈনিক দর্শন Zhuang Zhou এর সাথে পরিচিত ও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। উপনিষদ এর সাথে পরিচিত ছিল অবশ্য আগে। ওই নিয়ে তাঁর পরিচিত উক্তি, 

“I go into the Upanishads to ask questions.” 


স্রয়ডিংগারের বিষয়টা সামান্য অন্য রকম। তাঁর বিখ্যাত ইকুয়েশন প্রকাশ পায় 1926 সালে। এর আগেই 1918 সাল নাগাদ বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক আর্থার সোপেনহাওয়ার এর লেখাপত্র এর মাধ্যমে স্রয়ডিংগার আকর্ষিত হন উপনিষদের প্রতি। ওই আকৃষ্ট হওয়ার একটা নমুনা হল তাঁর কুকুরের নাম। উনি নাম রেখেছিলেন আত্মন। এর অনেক পরে 1944 সালে প্রকাশিত তাঁর বইতে উনি উপনিষদ এর প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়ে ছিলেন। 


যেটা লক্ষনীয় সেটা হল এই যে এই তিন বিজ্ঞানীর কেউ কোথাও কোনোদিন বলেননি যে বেদ উপনিষদ বা অন্য কোনো প্রাচ্য দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বা আইডিয়া ধার করে তাঁরা ওই কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আবিষ্কার করেছিলেন। ত্রয়ী এর মধ্যে প্রাচ্য দর্শন নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছসিত স্রয়ডিংগার যিনি বলেছিলেন যে

 “I do believe that this is precisely the point where our present way of thinking does need to be amended, perhaps by a bit of blood-transfusion from Eastern thought.” 

তিনিও কিন্তু আরেকটি গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছিলেন। ওঁর মুখে প্রাচ্য দর্শনের এই প্রশস্তি শুনে লাফালাফি করা ভক্তের দল ওই পরের কথাটা বাদ দিয়ে যায় সুকৌশলে। 

উনি এক নিশ্বাসে বলেছিলেন, 

"That (মানে প্রাচ্য দর্শনের রক্ত সঞ্চালন) will not be easy, we must beware of blunders — blood-transfusion always needs great precaution to prevent clotting. We do not wish to lose the logical precision that our scientific thought has reached, and that is unparalleled anywhere at any epoch.”

ভক্তের দল তো বটেই, যারা ততটা ভক্ত নন, কিন্তু বেদ, বেদান্ত, গীতা ইত্যাদির প্রতি কিঞ্চিৎ দুর্বলতা পোষণ করেন, তাদের অনুরোধ করবো স্রয়ডিংগারের ওই সাবধানবাণী উপলব্ধি করতে। পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার ফলে যে যুক্তিবাদের তীক্ষ্ণতা অর্জিত হয়েছে, যে কোনো যুগে যার কোনো সমান্তরাল পাওয়া যাবে না, সেটা যেন নষ্ট না হয় ওই প্রাচ্য দর্শন নিয়ে লাফালাফি করতে গিয়ে। দর্শন দর্শনের মতো উপযুক্ত মর্যাদার আসনে থাক, তার মধ্যে বিজ্ঞানের উপাদান খুঁজতে যাওয়াটা বাতুলতা, মূর্খামি। 

আইনস্টাইন গীতার একটি দার্শনিক চিন্তার প্রসংশা করেছেন কিন্তু ইসরোর তথাকথিত বিজ্ঞানীর মতো বলেননি যে সবই বেদে আছে, অতএব ফাইনম্যান এর ফিজিক্স বাদ দিয়ে বেদ পড়তে শুরু করি সবাই মিলে। আজ্ঞে না, ওপরের ওই স্রয়ডিংগার কথিত যুক্তিবাদের তীক্ষ্ণতা কেবলই পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের অবদান। বেদের দেশের বাসিন্দা হিসেবে কথাটা মেনে নিতে কষ্ট হতে পারে কিন্তু এটাই সত্যি।


বাংলায় বিজ্ঞান অক্ষয় -
সমূদ্র সেনগুপ্ত
Nov. 20, 2024 | জীবনী | views:879 | likes:0 | share: 0 | comments:0

বিদ্যাসাগর তাঁর লেখা "জীবনচরিত" বইটার পরিশিষ্ট অংশে "দুরুহ ও সঙ্কলিত নুতন শব্দের অর্থ" শিরোনামে একটি তালিকা দিলেন। এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক পরিভাষা যেমন আছে, তেমনই অন্যান্য শব্দও আছে। দু চারটে নমুনা পেশ করা যাক। Botany (উদ্ভিদবিদ্যা), Optics (দৃষ্টিবিজ্ঞান), Telescope (দূরবীক্ষণ), Satelite (পারিপার্শ্বিক, উপগ্রহ) ইত্যাদি। একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, বঙ্কিম কথিত "টেক্সট বুক রাইটার" বিদ্যাসাগর মশাই কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় বিজ্ঞান পাঠ প্রচারের জন্য এসব লেখেন নি, তার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেই শিশু শিক্ষা। [সূত্র: সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য সম্পাদিত বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী]

অক্ষয়কুমার দত্ত (যিনি ইংরেজিতে নিজের নাম লিখতেন Ukkhoy Coomar Dutt)-কে নিয়ে লিখতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের নাম টেনে আনার কারণ হল ওনার কৃতজ্ঞতা স্বীকার। "পদার্থবিদ্যা: জড়ের গুণ ও গতির নিয়ম" বলে যে বইটি উনি লিখলেন শকাব্দ ১৭৭৮ সালে সেই বইয়ের মুখবন্ধে (বিজ্ঞাপন) উনি লিখছেন, "এই পুস্তক মুদ্রিত হইবার সময়ে শ্রীযুত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও অমৃতলাল মিত্র মহাশয়েরা অনুগ্রহ পূর্বক দেখিয়া দিয়াছেন।" 

অক্ষয়কুমারের ভাষার ওপর বিদ্যাসাগরের প্রভাব সম্পর্কে যে জনশ্রুতি চালু আছে সেটি খন্ডন করতে গিয়ে কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বলেছেন, "অক্ষয় দত্তের বাংলা রচনাতে ঈশ্বর গুপ্তর নিকট হাতে খড়ি হয়। তবে অক্ষয় দত্ত যে বরাবর গুরুর রচনা পদ্ধতি নকল করিয়াছিলেন তাহা নহে। তিনি খানিকটা বিদ্যাসাগরি রীতির দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহা বলিয়া বিদ্যাসাগরের ও মাছি মারা গোছের নকল করেন নাই। অক্ষয় দত্ত যে রূপ প্রতিভা সম্পন্ন ছিলেন, তিনি যে কাহারও নকলে চলিবেন, ইহা কোনোমতেই সম্ভবপর ছিল না। তাঁহার রচনায় ঔদার্য, অকপট আন্তরিকতা এবং মনের ভাব অকাতরে ব্যক্ত করিবার ক্ষমতা বাঙ্গালার অতি অল্প লেখকই প্রদর্শন করিয়াছেন" [সূত্র: পুরাতন প্রসঙ্গ]।

পদার্থবিদ্যা প্রসঙ্গে ফেরা যাক। ইংরেজি ভাষায় রচিত বিভিন্ন বই অবলম্বনে রচিত এই পুস্তিকাটি লেখার সময় অক্ষয় কুমার সেকালের রীতি অনুযায়ী সাধুভাষাতেই লিখলেন কিন্তু তাতে বামুনের ঘরের চাল কাঁচকলা সৈন্ধব লবণের গন্ধ প্রায় নেই বললেই চলে। একটু খানি পড়া যাক, "জড় পদার্থের যে গুণ থাকাতে, কোন দ্রব্য নষ্ট হয় না, তাহার নাম অনশ্বরত্ব। সকল বস্তুকেই পুনঃ পুনঃ বিভাগ করিয়া অত্যন্ত সূক্ষ্ম করা যাইতে পারে, কিন্তু তাহার কনামাত্রও কোন ক্রমে ধংস হয় না। জল, পারদ প্রভৃতি বস্তু বাষ্প হইয়া আমাদের অদৃশ্য হয় কিন্তু তাহার অণুমাত্রও একেবারে নষ্ট হইয়া যায় না। বাষ্প, জল ও বরফ এ তিনই এক পদার্থ; বরফ দ্রব হইয়া জল হয়, এবং জল উষ্ণ হইয়া বাষ্প হয়। বরফে যতগুলি পরমাণু থাকে, তাহা বাষ্প রূপে  পরিণত হইলে,সে বাষ্পে ও ততগুলি থাকে, তাহার একটি পরমাণুর ও ধ্বংস হয় না।"

আজ যদি আমরা লিখতে বসি, তাহলে এই অনুচ্ছেদের ক্রিয়াপদগুলোকে চলিত ভাষায় আর বড়জোর ওই "দ্রব" শব্দটা কে গলে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু পাল্টাতে পারবো না, এতটাই ঝরঝরে ছিল অক্ষয়কুমারের ভাষা, এতটাই আধুনিক। মলিকিউল আর এটম এর পরিভাষা হিসেবে অনায়াসে অণু আর পরমাণু ব্যবহার করছেন উনি। বইয়ের অন্যত্র স্বর্ণ, রৌপ্য লিখলেও প্লাটিনামকে "প্লাটিনম" লিখছেন, কোনো উদ্ভট অপ্রচলিত পরিভাষা ব্যবহার করেন নি। 

পরিভাষা নিয়ে তাঁর এই অবদান কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় লিখছেন, "স্বর্গীয় অক্ষয়কুমার দত্ত ও ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সময় হইতে বাঙ্গালা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লিখিবার চেষ্টা হইতেছে। এ বিষয়ে উক্ত মহাত্মাদ্বয়ই প্রথম পথপ্রদর্শক।" [সূত্র: শক্তিব্রত ভৌমিক সম্পাদিত: আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রচনা সংকলন]। 

ওই প্ল্যাটিনম এ একটিবার ফেরত আসা যাক। এবিষয়ে দত্ত মশাই এর উত্তরসুরি রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, "বারবার ব্যবহারের দ্বারাই শব্দ বিশেষের অর্থ আপনি পাকা হয়ে উঠে, মুলে যেটা অসঙ্গত, অভ্যাসে সেটা সঙ্গতি লাভ করে" [সূত্র: মানস প্রতিম দাস: বাংলায় বিজ্ঞানের পরিভাষা ও অক্ষয় কুমার দত্ত]। রাজশেখর বসুও এই কৃত্রিম পরিভাষা আমদানির বিপক্ষে ছিলেন। তাঁর মত অনুযায়ী অক্সিজেন এর বদলে অম্লজান লিখলে ভাষা মোটেও পুষ্ট হবে না। 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১), অক্ষয় কুমার দত্ত (১৮২০-১৮৮৬), রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী (১৮৬৪-১৯১৯), প্রফুল্লচন্দ্র রায় (১৮৬১-১৯৪৪), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১), রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০), সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১৮৯৪-১৯৭৪)দের ধারা ধরে দুঃখিনী বাংলা মায়ের বাংলা ভাষায় আমরা যারাই একটু আধটু বিজ্ঞান চর্চার চেষ্টা করি তাদের কাছে আজকের দিনটা'র একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। ভদ্রলোক কিঞ্চিৎ পিউরিট্যান ছিলেন, মদ্যপানের বিরুদ্ধে ও আমিষ ভক্ষণের বিরুদ্ধে লিখে গেছিলেন, কিন্তু বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় ওনার অবদান সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। 

বিশেষ জ্ঞানকে কুক্ষিগত করে রেখে, মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে একটা জাতির কোনোদিন উন্নতি হতে পারে না, তাকে সর্ব সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হলে মাতৃ ভাষায় চর্চা করতে হবেই। লিখতে বসে পরিভাষা খুঁজতে গিয়ে যখন বিরক্তি আসে, মনে হয় ধুত্তর এত খেটে কি হবে, ইংরেজি/ল্যাটিন/গ্রীক শব্দগুলো বাংলা হরফে লিখে দিলেই তো গোল মিটে যায় তখনই দত্তকুলোদ্ভব এই মেধাবী মানুষটি যিনি সারাটা জীবন মস্তিকের চর্চা করলেন, দুঃখজনকভাবে শেষ বয়সে যিনি সেই মস্তিষ্কের অসুখেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন, নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন, আশেপাশের লোক তাঁকে পাগল বলে আখ্যা দিল, সেই মানুষটার নাম স্মরণ করে ঝাঁপিয়ে পড়ি। অন্যেরা দেখে, হাসে আর বলে, "যতসব পাগলের কান্ড"। 

অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে, বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা করতে গিয়ে আসুন, সব পাগল আমরা আজ ওঁর জন্মদিনে একজোট হই।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929